সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, হাউজিং ও ডেভেলপার কোম্পানিগুলো নকশায় মাঠ, পার্ক ও ফাঁকা জায়গা দেখিয়ে অনুমোদন নেয়। প্লট বিক্রির সময় তারা নকশায় খেলার মাঠ, পার্ক, ওয়াকওয়ে ও বাজার দেখায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, জায়গার দাম বাড়ায় তারা মাঠ ও বাজারও প্লট আকারে বিক্রি করে দেয়। আমি ইস্টার্ন হাউজিংকে বলেছি নকশা অনুযায়ী খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরাস্থান নির্মাণ করতে হবে। 

[৩] মেয়র আরো বলেন, আজকে পরিদর্শনে এসে দেখলাম জনগণের জন্য একটি পার্ক, কবরাস্থান ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। 

[৪] মেয়র বলেন, ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার টেকসই উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দ্রুতই ড্রেনেজ, রাস্তা, ফুটপাত ও ব্রীজের কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় একের পর এক বড় বড় ভবন নির্মাণ হচ্ছে। মাঠ ও পার্ক নির্মাণ না করে শুধু ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক বিকাশ হবে না।

[৫] তিনি বলেন, পার্ক ও মাঠ পরিদর্শনে আমি এখানে আগেও এসেছিলাম। তখন এখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, নির্মাণ সামগ্রী রেখে এটি দখল করা ছিল, এখানে গরু লালন পালন করা হতো। দখলমুক্ত করে আজ পার্ক ও মাঠ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। সবাই এখানে খেলাধুলা করবে।

[৬] রোববার উত্তর সিটির ৬নং ওয়ার্ডের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরাস্থান পরিদর্শনকালে মেয়র এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, এই জায়গায় ভবিষ্যতে প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগে যদি বরাদ্দ হয়ে থাকে তাদের অন্য জায়গায় প্লট দিতে হবে। এলাকার মালিক সমিতিকে আহবান করবো এগুলো দেখে রাখার জন্য। জনগণ সম্পৃক্ত হলে মাঠ ও পার্ক কেউ দখল করতে পারবে না। ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানিকে অনুরোধ করবো মাঠটির চারপাশে দর্শকদের জন্য গ্যালারির ব্যবস্থা করে দিবেন।

[৭] যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নৌপথ চালুর বিষয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি মিরপুরের রূপনগর খাল দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। রূপনগর খালে ১১টি ব্রিজ রয়েছে, সেগুলোকে আর্চ ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে এই পথে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। শহরকে বাঁচাতে ন্যাচার বেজড সলিউশন করতে হবে। এতে যানজট যেমন কমবে সেই সাথে পরিবেশ দূষণ রোধ হবে।

[৮] পরে ডিএনসিসি মেয়র খেলার মাঠে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফুটবল খেলে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

[৯] পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না